
কালীঘাটে গঙ্গার ধারে উদ্ধার হয়েছিল ছেঁড়া নোটের স্তুপ।
৫,১০,২০,৫০ ও ১০০ টাকার পোড়া ছেঁড়া নোট ছিল স্তুপের ভেতরে।
ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
কালীঘাট থানার পুলিশ এসে নোটগুলি বাজেয়াপ্ত করেন।
ছেঁড়া নোট উদ্ধার নিয়ে তৈরি হয়েছিল রহস্য।
এক রিক্সা চালককে জিজ্ঞাসাবাদের পর সমস্ত রহস্যভেদ হলো।
সূত্রের খবর, জৈন মন্দিরে প্রণামী বাক্স থাকা নষ্ট হয়ে যাওয়া কয়েক হাজার টাকার নোট বস্তার মধ্যে রাখা হয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য।
মন্দিরের বর্জ্য ফুলের পাশেই নোটের সেই বস্তা রাখা ছিল।
মন্দিরের এক কর্মী ফুলের সাথে সাথে নোটের বস্তাটি রিক্সা চালকের হাতে তুলে দেন।
যে রিকশাচালক দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের ব্যবহৃত ফুল আদি গঙ্গার ঘাটে ফেলে।
ওই দিনও ফুলের সাথে টাকার বস্তাটিও গঙ্গার ঘাটে ফেলে দিয়ে আসে রিকশাচালক।
নোটগুলি খরখরে শুকনো অবস্থায় ছিল।
গঙ্গার ঘাটে অনেকেই আসেন।
সে নোট গুলির উপর কেউ সিগারেটের আগুন বা জ্বলন্ত ধূপ ফেলায় বেশিরভাগ নোটগুলি আধপোড়া হয়ে যায়।
সূত্রের খবর সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই রিকশাচালককে সন্ধান করে পুলিশ।
তারপর রিক্সা চালকের সাথে এবং মন্দিরের পুরোহিতের সাথে কথা বলতেই পুলিশের কাছে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, করোনা আবহে লকডাউনের জন্য বন্ধ হয়ে যায় মন্দির।
মন্দিরের সব কর্মী ছিলেন না।
ছিলেন মাত্র ৩ জন কর্মী।
লকডাউনের মধ্যেই আসে আমফান।
আমফানের প্রচন্ড ঝড় ও জলে সমস্যায় পড়েন প্রত্যেকেই।
প্রণামী বাক্সের দিকে লক্ষ্য ছিল না।
জল জমে যায় মন্দিরের ভেতরে।
ভিজে যায় প্রণামী বাক্স।
বাক্সের ভেতরে ওপর টাকাগুলি ভালো থাকলেও নিচে থাকা টাকা গুলির অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
নষ্ট হয়ে যায় টাকাগুলি।
নষ্ট হয়ে যাওয়া টাকাগুলি বাছাই করে আলাদা করে রাখা হয়।
সেই বাছাই করা টাকাই ব্যবহৃত ফুলের সাথে চলে যায় আদি গঙ্গার ঘাটে।
More Stories
রূপান্তরিত হল এডিজি ও দমকল ডিজি
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা
বৃষ্টির পূর্বাভাস বঙ্গে