না আমার কিছুই বলার নেই। কেউ পেয়ে থাকেন , কেউ নিয়ে থাকেন। তবে পাওয়া টা জরুরি ও প্রত্যাশিত। আর না পাওয়াটা হা হা কার বই কিছু নয়। এতে কারোর কারোর গোসা হতেই পারে।
হ্যাঁ। ঠিক ই ধরেছেন আমি মহান মহার্ঘ্য ভাতার কথা বলছি, যা সরকার বাহাদুর দিয়েই থাকেন , আর আজীবন কাল কর্মীরা নিয়েই থাকেন। তাতে তাঁরা সুখে থাকেন , তাদের হাত ধরে পরজীবিরা অর্থাৎ আমাদের মতো প্যারাসাইট রা দু পাইস বাড়তি উপার্জন করেই থাকি , তাতে দোষের কিছু না।
কিন্তু সরকার বাহাদুর ভালোবাসা বন্ধন হটাত ছিন্ন করলে ফের গোসা। যারা আসি যাই , পাই গোছের , তাদেরও গোসা। আন্দোলন করাটা জীবনের অঙ্গ। তাই জাটিংগা হয়ে ঝাপিয়ে পড়। জাস্টিফিকেশন , অ্যাসেসমেন্ট, এসব শব্দ গুলোর পাশ দিয়ে যাওয়াও তখন রাজনৈতিক দলীয় চাটুকার এর সমার্থক শব্দ বৈ কি!
তবে অনেকটা দখলদারদের মতো। এটা আমাদের অধিকার , পেয়েই থাকি , আর পাবো নাই বা কেন ! হ্যাঁ নিশ্চিত করে বলি , এই মহান মহার্ঘ্য ভাতা তাই পাওয়াই উচিত।
এই মহার্ঘ্য ভাতা পাওয়া আবশ্যিক। কেনোনা নিজের ঘর গোছানো থাকলে তবে না পরিযায়ী দের নিয়ে কথা বলাটা সম্ভব হবে!
এবার আসি আরেক পাওয়ার কথায়, বর্তমান যে রাজ্য ব্যবস্থা চলছে তাতে পাওয়ার ও দেওয়ার অভ্যাসটা নেশায় পরিনত হয়েছে।
চলচ্চিত্রের চরিত্রবান রাও তাই কয়েক কোটি টাকার লাক্সারি গাড়ি
পাবেন এটাই স্বাভাবিক।
সরকারি বাপ মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন ।
সে টাকায় ছেলে মেয়ে এ রাজ্যের ইস্কুল কলেজে পড়বে ।
কিম্বা চাকরি টাকরি পাবার জন্য খানিক খরুচে হবে না তা কি হয়!
চাকরি দেওয়ার অছিলায় টাকা লাগে , মানে ঘুষ লাগে।
সেই সরকারি চাওকরি পাওয়ার এতো স্বপ্ন দেখা কি হরলিক্স খাওয়া বাপ?
মহার্ঘ্য ভাতা পাবে বলেই না !
কিন্তু সে ঘুষের টাকা! তা যাচ্ছে কোথায়? কেন – সিনিমায়! বাংলা সংস্কৃতিতে ছেলে কবি হলে বিপদ , কিন্তু চলচ্চিত্রের চরিত্রবান হলে লাক্সারি গাড়ি –
তাই কার টাকা , কোথা থেকে এলো আর কেনোই বা চলচ্চিত্র চরিত্রবানদের দু চার পিস পাওয়া নিয়ে চাঞ্চল্য তা ভাবার দরকার কি?
যেমন চলছে চলুক ! মা এর রাজ্যে পৃথিবী রসময়…