ঝকঝকে স্মার্ট আদ্যোপান্ত কর্পোরেটীয় লুক। আজ বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে
তো কাল ত্রিপুরা আবার কোনো সময় নেপাল কিম্বা আসামের কোনো
জেলার জল , মাছ নিয়ে পরীক্ষায় ব্যস্ত।
দেবতনু বর্মন।জীবন কে নিয়ে অন্য ধারায় স্বপ্ন দেখা ত্রিপুরার এই তরুন উদ্যোগপতি
আজ শুধু সফলই নন। অনেক মৎস্যজীবির পরিবারের নির্ভরযোগ্য সদস্যও হয়ে উঠেছেন।
শুধুমাত্র ব্যবসায়ীক সম্পর্ক নয় , দেবতনু জানেন কিভাবে দেশের মৎস্যজীবি , মৎস্য
প্রকল্পের পাশে থাকতে হয়।
বাংলার প্রতিবেশি রাজ্য ত্রিপুরায় জন্ম , বড় হয়ে ওঠা দেবতনু কখন যেন জলের রূপোলী
ফসল মানে মাছের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল, তা ঠাওর করতে পারেন না। কিন্তু বেশ চড়া গলায়
সংবাদ মাধ্যমকে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বলেন , তিনি আজ গর্বিত। মাছ নিয়ে তাঁর স্বপ্ন
সফল হতে চলেছে তা এখন ই ভাবছেন না কেনো না sky is limit.
ফিশারীস সায়েন্স নিয়ে ব্যাচেলার ডিগ্রি অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন ত্রিপুরার সেন্ট্রাল
এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি থেকে। আর তারপর সুদুর বেলজিয়াম থেকে মাস্টার ডিগ্রি।
না , গত দশ বছরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি এই তরুন উদ্যোমী উদ্যোগীকে।
জলের ঘনত্ব , ঘোলা জলে মাছ চাষ , নতুন ধারায় মাছ চাষের পদ্ধতি , বিজ্ঞান ভিত্তিক
পদ্ধতিতে মাছ চাষের বুৎপত্তি ই হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দেবতনু বর্মনের।
কলকাতা কে কেন্দ্র করে বানিয়ে ফেলেছেন নিজের ব্র্যান্ড Aqua Doctor Solutions
“One Shop-One Stop Solutions for All Modern Aquaculture
Aspects with Service Provider”
আর সেসব হাতিয়ার সংগে নিয়েই দেবতনুর Aqua Doctor Solutions দেশের
নানা প্রান্তে একের পর এক প্রজেক্টের সঙ্গে নিজের কাজের সীমানা ছাড়িয়ে
আরো আরো এগিয়ে চলেছে। মিলেছে একাধিক স্বীকৃতি তা বেঙ্গল চেম্বার্স ওফ কমার্স হোক
কিম্বা রাষ্ট্রীয় স্মাজ সেবা রত্ন।
মাছের ব্যবসায় নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চান যারা তাদের পাশে কিভাবে থাকে Aqua
Doctor solutions? মিরর নিউজ দেবতনুকে সরাসরি জানতে চাইলে, দেবতনু প্রত্যয়ের
সঙ্গে বলে উঠলো এটাই তো আমাদের স্বপ্ন। বাংলার মানুষ কেনো , গোটা দেশের তরুন ,
নবীন মানুষ সবাই এই ব্যবসায়ী এগিয়ে আসুন।
নদী মাতৃক দেশ আমাদের , খাল বিল জলাশয় কম নেই। আর বাজার , চাহিদাও
তুংগে অথচ সেই অনুযায়ী যোগান কই। বানিজ্যিক ভাবে সফলতা আসবেই।
যদি কেউ মাছ নিয়ে ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হওয়ার স্বম্ন দেখেন , পাশে রয়েছে
দেবতনু আর তাঁর Aquadoctor solutions.
জাতীয় সড়কের কোনো এক ঝিলের ধারে দাঁড়িয়ে দেবতনু বলে চলছিল তাঁর একের পর
এক ইচ্ছা আর স্বপ্ন পূরনের গল্প।
সে চায় , দেশের বেকারত্ব কমুক। চায় women empowerment হোক।
ইতিমধ্যে দেশের সরকারি ,বেসরকারি উদ্যোগের শরিক হওয়ার পাশাপাশি
বেশ কিছু NGO র সঙ্গেও কাজ চলছে।
ব্যবসায়ীক ভাবেই সফল দেবতনু বর্মন শুধু মুনাফা নয়, চায় সমাজ এগিয়ে চলুক
নয়া বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষিকে ভিত্তি করে অর্থনৈতিক
স্বাধীনতা আর সফলতার পথে।