শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে জয়িতা ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক। আজ ২ য় কিস্তি
www.mirrornews.in/default-in-new-education-policy/ ১ ম পর্বের পর
কিছুকাল আগেও ছাত্র ছাত্রীরা টিচার দিকে সরাসরি মাথা তুলে কথা বলতে দ্বিধা বোধ
করত ,এমনকি এভাবে জীবনের শুরু থেকেই মনের মধ্যে ভালো নম্বর পাওয়ার মানসিক চাপ
ছিলো না।
এখন ছাত্রদল মনে করে মাস্টার বেতন পায় তাই তার পড়ানো কাজ।সামান্য শাসনেও টিচারের সঙ্গে বিবাদ করতে আসে অভিভাবক। মুক্ত পরিবেশ থেকেও যে শিক্ষা আহরণ করা যায় তা আজ ভুলে গেছে পরীক্ষা কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা।
প্রশাসনিক জটিলতায় শিক্ষকেরাও এখন বাধ্য এই তোতাকাহিনী র ভাগিদার হতে।
ভালো নম্বর কখনও একটি ভালো মানুষের নির্ণায়ক নয় এমন বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
আমরা জানি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও এক সময় বড় বড় বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও প্রথিতযশা মানুষ পাশ করে বিশ্বখ্যাত হয়েছেন।
অথচ আজ যে কোনো সচ্ছল পরিবারের ছাত্র সবার আগে এই রাজ্য তথা দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে চায়,এ আমাদেরই লজ্জা।
রবীন্দ্রনাথের সাধের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ পরিবেশ কলুষিত।
শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক কলুষিত হয়ে গেছে আজ খানিকটা রাজনীতির কল্যাণে। আজ শিক্ষাব্যবস্থা এমন ভাবেই রূপরেখা টেনেছে যে একটি ভালো মানুষ হতে যা শেখায়
না কেবল নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতা করে।
থেকে গেছে গোড়ায় গলদ।
অথচ সত্তর বা আশির দশক অবধিও এত ভঙ্গুর হয়ে যায়নি শিক্ষা ব্যবস্থা।
অপরদিকে দেখা যাচ্ছে মার্কিন দেশে কিন্তু পড়াশোনা ব্যাপারটি একটা অনড় গন্ধমাধনের মত মাথায় চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।
মাধ্যমিক স্তরেও এমনি অনেক সহজতর।ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে সারা পরিবারের কাছে একটা জীবন মরণ বাজি রাখার ঘটনা ঘটে না। পরীক্ষায় কম নম্বর পেলে আত্মহত্যা করতে হয় না তাদের।
আমাদের আরো একবার চিন্তা ভাবনা করার সময় এসেছে শিক্ষার পরিকাঠামো আমূল পরিবর্তন করার।
(ক্রমশ)