চাঁচলঃ মালদার কলিগ্রাম মৌজার চাষী মোজাম্মেল হকের মাথায় হাত। এবছর ঋণ নিয়ে
তিনি তিন বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। অর্ধেক জমিতে ফুলও এসেছে।
কিন্তু বুধবার ভোর থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে । সূর্যেরও দেখা মেলেনি।
তাই ক্ষেতের ক্ষতি হতে পারে।সরিষার ফলন নাহলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এই
আশঙ্কায় মোজাম্মেল ।
মোজাম্মেলের অবস্থা অনেক চাষীর ই। শীতের মরসুমে অসময়ের বৃষ্টিতে সরিষা সহ শীতকালীন সব্জি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
তবে বৃষ্টি শেষ হলে সূর্যের তাপমাত্রা পেলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবেনা বলে দাবি কৃষি দপ্তরের।
চাঁচল-১ নং ব্লকের কৃষি অধিকর্তা দীপঙ্কর দেব অবশ্য জানিয়েছেন ,চলতি মরশুমে
চাঁচল-১ নং ব্লকের মৌজাগুলিতে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।বুধবার ভোররাতে বৃষ্টি হয়েছে।
তিনি নিজে মাঠ পরিদর্শন করে এসেছেন ।তেমন কিছু ক্ষতি দেখা দেয়নি।তবে টানা বৃষ্টির ফলে ফসলে স্যাতসেতে ভাব থাকলে ধসা জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
তাতে ছত্রাক জাতীয় ঔষুধ স্প্রে করলেই রোগ দমন করা যাবে বলে কৃষি অধিকর্তার মত।তবে রৌদ্র হলে সেই আশঙ্কা একেবার দূর হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেশি হওয়ায় আমন ধান তোলার পর চাঁচল-১ নং ব্লকের সিংহভাগ কৃষক তেলের চাহিদা পূরণের জন্য বেশি করে সরিষা আবাদ করেছেন।
কিন্তু শীতকালে অসময়ের বৃষ্টি তাদের এ আশাকে নষ্ট করে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ।