জীবনের ঝড় –এটা তো স্বাভাবিক।
আজকের প্রজন্ম এই কথাটি খুব সুন্দর ভাবে মেনে নিতে শিখেছে।
আর তাই লকডাউনের-ঝড় তাদের মনকে দমিয়ে দিতে পারেনি -বন্দিজীবন -রান্নাঘরে ও তারা তাদের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
মা-ঠাকুমার আমলের রান্নাকে একটু এদিক ওদিক করে -ভরিয়ে তুলছে।
আমাদের এই সপ্তাহের এই বিভাগের ছোট্ট অষ্টাদশী গৃহিনী –অঙ্কিতা দেবনাথ তাদেরই প্রতিনিধি।
আজ তার হাতে–তৈরী চিরচেনা কাঁকড়োল দিয়ে —-” ভাঁপা-কাঁকড়োল-এর কারিকুরি।
উপকরণ—কাঁকড়োল, সরসে-পোস্ত বাটা(পরিমানমতো), কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, নারকেল কড়া, চিনে বাদাম, নুন, চিনে বাদাম, ধনে পাতা/বিলিতি ধনে পাতা।
পদ্ধতি-প্রথমে বাজার থেকে আনা কাঁকড়োল গুলো গরম জলে ফুড স্যানিটাইজারে ধুয়ে নিতে হবে।
এইবার কাঁকড়োলের গায়ে কাঁটা গুলো চেঁছে নিয়ে লম্বা করে কেটে নিতে হবে।
সর্ষের তেলে হালকা করে কাঁকড়োল ভেজে নিলে একটু নরম স্বাদ হবে।
এরপর পোস্ত-সরষে বাটা, নারকেল কোড়া পরিমাণ মতো কাঁচা লঙ্কা ছাড়া, নুন দিয়ে ভাল করে একটি পাত্রে কাঁকড়োল গুলো মেখে নিতে হবে।
খেয়াল রাখবেন এই সংমিশ্রনটি একটি চওড়া পাত্রে মাখলে ভালভাবে মাখা হবে।
এরপর মিশ্রণটা মাখা হয়ে গেলে পরিমাণমতো কাঁচা সরষের তেল ও হলুদ গুড়ো ছড়িয়ে দিতে হবে।
তবে অনেকে ভাঁপায় হলুদ গুড়ো দিতে চান না।
তারপর একটি বড় হাঁড়ি অথবা ডেকচিতে জল গরম করতে হবে।
তার ওপর ঐ মিশ্রণের পাত্রে বসিয়ে দিতে হবে।
খেয়াল রাখবেন যেন হাঁড়ি র সাথে পাত্রটি বেশ সুন্দর ভাবে বসানো যায় , কোন ফাঁক যেন না থাকে।
তারপর ঐ মিশ্রনের পাত্রটি ওপর একটা হালকা উঁচু থালা ঢাকা দিয়ে দিতে হবে।
এই ভাবে তিরিশ মিনিট রাখার পর ঢাকা খুলে দেখে নিতে হবে।
যখন তেল মিশে যাবে তখন নামিয়ে ফেলবেন।
পরিবেশনের আগে চিনে বাদাম বাটা ও ধনে পাতা দিয়ে আর একবার হাতা দিয়ে হালকা করে মিশিয়ে নিয়ে কাঁচা তেল ও আর একবার ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করবেন।
ইচ্ছে হলে কুঁচো চিংড়ি মাছ ভাজা দিয়েও খেতে পারেন।
কাঁকড়োলের কারিকুরি–তে জমে যাবে মধ্যাহ্ন ভোজ।