নেপাল থেকে ভারতের পূর্ব হিমালয়ের সীমানা বরাবর , চা এর পেয়ালায় উষ্ণতা বাড়ছে দার্জিলিং আর নেপালের। সংঘাত সীমান্ত্রেখা নিয়ে নয়। বরং লড়াই দুই পাতা ও এক কুড়ির। বলা ভালো যুদ্ধটি দার্জেলিং চা বনাম নেপালি চা নিয়ে।
দুই এর দাবি, তারাই সেরা চা উৎপাদন করে। তবে দার্জেলিং চা বাগান মালিক ও উৎপাদনকারীদের অভিযোগ, করোনা ভাইরাসের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নেপাল তাদের অপেক্ষাকৃত সস্তা চাকে দার্জেলিং চায়ের জনপ্রিয় প্রিমিয়াম চা হিসেবে প্রচার করছে।
ফলে দিন কে দিন দার্জেলিং চায়ের উৎপাদন পড়ে গেছে। নেপালিরা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছে, যে মানের কথা বলা হচ্ছে, তা দার্জেলিং চা আবাদকারীরা উৎপাদন করতে পারছেন না।
লকডাউনে দার্জিলিং চায়ের ক্ষেত্রে যতটা সমস্যা তৈরী হয়েছে নেপালের তত টা সমস্যা হয় নি ।নেপালের চা শ্রমিকেরা নিরাপদে চা উৎপাদন করে গেছে।
আর এই দেড় বছরে পাহাড়ের দার্জিলিং চায়ের জনপ্রিয়তাকে অনেকটাই পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে নেপালের স্থানীয় চা।পাহাড়ের স্থানীয় মানুষ আর পর্যটকেরা আপন করে নিয়েছেন নেপালের চা কে।
সবচাইতে বড় কথা দার্জিলিং চায়ের ক্ষেত্রে উৎপাদন করতে যে খরচ করতে হয় নেপালের ক্ষেত্রে তা হয় না,অতি সহজেই চায়ের বাজার ধরতে পারায় খুশী চায়ের ব্যাবসায়ীরাও।
এইভাবেই পৃথিবী বিখ্যাত দার্জিলিং চা কে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে নেপালের স্থানীয় চা।