বিদ্যা দেবীর আরাধনায় কুল আবশ্যিক। বিধি মেনে সরস্বতী পুজোর আগে পর্যন্ত কুল ছোঁয়া হয় নি অনেকের ই । বর্তমানে দেশি এবং নারকেল কুলের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে একাধিক বিভিন্ন জাতের কুলের।
ঠিক তেমনি নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে বর্তমানে ব্যাপক পরিমাণে চাষ করা হচ্ছে আপেলের মতোই দেখতে আপেল কুলের।বেশ খানিকটা বড় হওয়ার পর লাল বর্ণ ধারণ করে এই কুল।
দেখতে অনেকটা আপেলের মত, তবে আপেলের থেকে তুলনামূলক ভাবে সাইজে ছোট। খেতেও কিন্তু আপেলের থেকে নেহাত কম স্বাদ নয়।
চলতি ভাষায় চাষীরা আপেল কুল বললেও তিনি ভারত সুন্দরী। অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষ করা এই কুলের চাহিদা বর্তমানে বেড়েই চলেছে ধীরে ধীরে।
সেই কারণেই টক মিষ্টি দেশী কুলকে পেছনে ফেলে বাজার চেয়েছে আপেল কুলে। আর তাই চাষীদের মধ্যেও ফুল চাষের প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ বিঘা জমিতে বর্তমানে এই আপেল কুল চাষ হচ্ছে জোর কদমে।
এবছর শীতকালীন বেশিরভাগ শাকসবজি উৎপাদন করে চাষিরা খুব বেশি লাভ করতে পারেননি বরং লোকসানের মুখেই পড়তে হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম এই কুল চাষ। এই আপেল কুলের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন বর্তমানে চাষিরা।
আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে এই কুল গাছের চারা দেওয়া হয়ে থাকে চাষীদের। ইচ্ছুক কৃষকেরা পরবর্তী মৌসুমের জন্য কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের কৃষি দপ্তরের কাছে যোগাযোগ করে এই চারা নিতে পারবেন বলে জানা গেছে।