কুমড়োর বীজ নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এমনকি কুমড়োর বীজ কে সুপার ফুডও বলা হয়। কুমড়োর বীজে প্রচুর পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি হূদযন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এমনকি কুমড়োর বীজ টাইপ 2 ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কুমড়োর বীজ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কুমড়ার বীজে একাধিক উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে। আসুন দেখে নিন কুমড়োর বীজের উপকারিতা:
১। ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে : কুমড়োর বীজ খুবই উপকারী।এই বীজ পাকস্থলী, স্তন, ফুসফুস, প্রোস্টেট এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম করে। এক গবেষণায় পাওয়া গেছে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে কম করতে সাহায্য করে কুমড়োর বীজ।
২। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে: একাধিক গবেষণায় পাওয়া গেছে কুমড়োর বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
৩। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম: কুমড়োর বীজ ওজন কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম। কুমড়োর বীজ প্রোটিন সমৃদ্ধ। শুধু নির্দিষ্ট পরিমাণের কুমড়োর বীজ খাওয়া খুবই উপকারী।
৪। ত্বক ও চুল ভালো রাখে: কুমড়োর বীজ ত্বক ভালো রাখে এমন কি চুলের জন্য কুমড়োর বীজ খুবই উপকারী। কুমড়োর বীজের কিউকারবিটাসিন নামক যোগ রয়েছে যা চুল বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী।
৫। ঘুম ভালো হয়: যদি কারো ঘুমের সমস্যা থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে কুমড়োর বীজ ঘুমের জন্য খুবই উপকারী।এগুলির অল্প পরিমাণ খাওয়াই আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক সরবরাহ করতে পারে।
৬। হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে:কুমড়োর বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস ।এগুলি সবই আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে