ডেস্ক মিরর : ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিধ্বংসী যুদ্ধ দুমাস ধরে চলছে। যেই যুদ্ধের ফলে বর্তমান ইউক্রেন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর আগেই রাশিয়া কার্যত হুমকি দিয়েছিল যারা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে তাদের করা মাশুল দিতে হবে।
তবে এতদিন শুধু আশঙ্কা ছিল। এবার সব আশঙ্কা সত্যি হলো। কারণ যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর শাস্তিস্বরূপ পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াতে গ্যাসের যোগান বন্ধ করলো রাশিয়া। বুধবার রুশ সরকারের গ্যাস ও তেল উৎপাদনকারী সংস্থা গ্যাজপ্রম জানিয়ে দেয়, টাকা না মেলায় পড়শীর দুই দেশের গ্যাসের যোগান তারা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর গ্যাসের দাম মেটাতে রুশ মুদ্রা রুবেল এর ব্যবহার করার দাবি জানিয়েছিল মস্কো। তবে সেই দাবিতে কর্ণপাত করেননি পোলান্ডো ও বুলগেরিয়া। তাই পড়শী দুই দেশের গ্যাসের যোগান বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়া 27 এপ্রিল নোটিশ জারি করেছিল যে দুই দেশের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু বুলগেরিয়া দাবি তারা চুক্তি মাফিক জ্বালানির মূল্য রাশিয়ার হাতে তুলে দিয়েছিল। তবে তার পরও সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে রাশিয়ার দবি রুবেলের জ্বালানির মূল্য না মেটাতে পাড়ায় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে অন্যদিকে, ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি এনাজীর দাবি, যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে জ্বালানিকেই ব্যবহার করেছে রাশিয়া।
অন্যদিকে,পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্গত।ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একত্রিত ভাবে এর যোগ্য জবাব দেবেন ইউনিয়ন। এবং এর সাথে সাথে রাশিয়ার ঘোষণাকে অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য বলে কটাক্ষ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্গত বিভিন্ন দেশ একত্রিত হয় বৈঠকে বসেছেন জ্বালানি নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্য। এখন এটাই দেখার পাল্টা রাশিয়াকে কি জবাব দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।