বড়দিনের অপেক্ষায় ওঁরা। তর সহ্য না হওয়ারই কথা। নিম্নচাপ কেটে গিয়ে ঠান্ডার আমেজ কলকাতায় জাঁকিয়ে বসেছে ইতিমধ্যেই।
সান্টার জন্য অপেক্ষা করতেই রূপকথার স্লেজ গাড়ি চেপে ওঁদের জন্য একরাশ উপহার পৌঁছে গেল সুদুর নিউ জার্সি থেকে কালীঘেটের যৌন পল্লীতে।
ক্রিশমাস ক্যারোল তখন হয়তো গুন গুন করে গেয়ে উঠেছে পিংকি, রাজুদের মতো ছোট সান্টারাই।
প্রত্যেক মাসের ফ্রি রেশনিং দেওয়ার আগেই নিউ জার্সির কৃষ্ণা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা ঠিক করে নিয়েছিলেন চাল , ডাল , এসব বড়দের , মায়েদের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ছোটদের মুখেও হাসি দেখাটা জরুরি।
তাই নিউ জার্সির কৃষ্ণা ফাইউন্ডেশনের যাবতীয় সামগ্রী নিয়ে আসার সময়, ছোটদের জন্য সান্টার টুপি, উপহারের প্যাকেট নিয়ে আসতে ভোলেন নি কলকাতা কিডস সেন্টারের সদস্যরা।
সদ্য নিউ জার্সিতে হয়ে গেল কৃষ্ণা ফাউন্ডেশনের বার্ষিক অনুষ্ঠান। সেখানে সারা বছর ধরে কলকাতার এই যৌন কর্মীদের পল্লীতে তাদের সেবার কাজের অনেক কথাই উঠে এলো।
অনেক পাশে পাশে এলেন । অনেকেই এমন বিশেষ কাজে কৃষ্ণা ফাউন্ডেশনের ঝাপিয়ে পড়াকে সাধুবাদ জানালেন।
সেই অনুষ্ঠানের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কাজে ফেরা কৃষ্ণা ফাউন্ডেশনের। কৃষ্ণার তরফ থেকে অন্যতম কার্য নির্বাহী সদস্যা কুমকুম সেন মিরর নিউজ কে জানালেন,
বড়দিনের খুশিতে তামাম দুনিয়ার ছোটরা মাতবে, তেমন কালীঘাটের যৌনপল্লীর
শিশুরাও আমাদের সমাজের অঙ্গ। তারাও যেন সে আনন্দ থেকে বাদ না পরে।
এমনিতে চলতি হাওয়ায় রোজগার এ টান কালীঘাটের যৌন কর্মীদের। একবেলা খাওয়া জোটে তো , আরেক বেলা অভাবের আঁধার নামে।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাই নিউ জার্সি থেকে কৃষ্ণা ফাউন্ডেশন ওঁদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করছে নানা ভাবে।
প্রতি মাসে ফ্রি রেশনিং থেকে ওই পাড়ার ছোটদের পড়াশুনোর সামগ্রী পাঠানো।পুজো থেকে বড়দিনের উপহার।