নিরন্তর প্রশ্ন। আমি কে ? আমার অস্তিত্ব নিয়ে আমি কি নিজেই জেনেছি! আধুনিক , বিজ্ঞান ভিত্তিক সেই বেদান্তকে সামনে রেখেই পাশ্চাত্যের সঙ্গে এ দেশের নতুন করে পরিচয় ঘটিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।
এরপর সে ভাবধারায় নিজেকে ভাসিয়ে দিলেন ইন্টারন্যাশানাল বেদান্ত সোসাইটির সেই প্রান পুরুষ শ্রী ভগবান । স্বামীজির সেই স্বপ্ন , যে স্বপ্নে বিজ্ঞান মনস্কতা আর আধ্যাত্মবাদ নতুন সমীকরণ তৈরি করেছিল, যা তিনি চেয়েছিলেন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ুক, সেই কাজকেই আশীর্বাদ রূপে মাথায় তুলে নিয়েছেন ইন্টারন্যাশানাল বেদান্ত সোসাইটির ” শ্রী ভগবান”
বাংলাদেশ বরিষালের রহমতপুরে চক্রবর্তী পরিবারে জন্ম হওয়া সেই বালক ছেলেবেলা থেকেই যেন ছিলেন একটু আলাদা। সদা সত্যের প্রতি নিষ্ঠাবান আর মানব কল্যানে ব্রতী কোমল হৃদয়ের সেই ছোট শিশুটি নিজের মতোই বেড়ে উঠতে লাগলো প্রকৃতি পরিবেশে। তাঁর চরিত্রে দুটি গুন যেন দিন দিন প্রকট হতে লাগলো। এক, চট জলদি শিখে নেওয়া আর দুই, শ্রুতিতে স্মৃতিতে শিক্ষাকে ধরে রাখা।
এরপর সময় কেটে গিয়েছে। মানুষের চরিত্র , বৈচিত্র , আঘাত , ঘাত – প্রতিঘাতে তিনি কখন কিভাবে যেন স্বামী বিবেকানন্দের বেদান্ত দর্শনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেললেন।
তাঁর গুরু ভাগ্য তাঁর জীবনে আমূল বদল এনেছে। শ্রী শ্রী মা সারদাদেবীর খুব কাছের সন্তান স্বামী কৃষ্ণানন্দের শিষ্য স্বামী পবিত্রানন্দের কাছে তিনি বাধা পড়লেন। তাঁর কাছ থেকে সেই বেদান্তের নিগূঢ় তত্ত্ব , কথা নিজের মধ্যে পেতে থাকলেন।
দর্শনের চূড়ান্ত মার্গ অদ্বৈত বেদান্তে নিজেকে মেলাতে শুরু করলেন। গুরুর পাঠানো লিখিত চিঠিগুলি নিয়েই পরবর্তীকালে ইন্টারন্যাশানাল বেদান্ত সোসাইটি প্রকাশ করলো বেদান্ত সাধনা। পরে তা ইংরাজি ভাষাতেও তর্জমা করে ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশে – দেশে।
গত ৩ রা জানুয়ারি ইন্টারন্যাশানাল বেদান্ত সোসাইটি পালন করলো শ্রী ভগবানের ৮২ তম জন্মদিন। আর সে দিন বেদ ও বেদান্তের তত্ত্ব নিয়ে নিগূঢ় আলোচনার পাশাপাশি আরো একবার বার্তা ছড়িয়ে পড়লো শান্তি, সত্য ও মানব কল্যানের।
আজকের দিনে , জাতি , ধর্ম হানা হানির খবরে আমরা যখন বিহ্বল হয়ে পড়ি তখন স্বামীজির আদর্শে ইন্টারন্যাশানাল বেদান্ত সোসাইটি ও শ্রী ভগবানের এমন বেদান্ত প্রচার ও প্রাসার মানুষকে শান্তি দেবে বৈকি …।।